Sunday, March 13, 2016

এক বেলা খাবারেই ৪০ লাখ

মধ্যবিত্ত জীবনে খাবার খেতে গিয়ে আগপিছ কত কিছু ভেবে নিতে হয়। তারচেয়েও যাদের টাকা টান তারা একটু দামি কিছু খেতে চাইলে দশবার মানিব্যাগের দিকে তাকিয়ে তারপর রেস্টুরেন্টে খেতে বসে। কিন্তু একটু দামি হোটেলে যারা খাবার খান তাদের সে চিন্তা না করলেও চলে যদি ব্যাংকে সহস্র কোটি টাকা থাকে। রাশিয়ান ব্যবসায়ী সহস্র কোটিপতি রোমান আব্রাহিমভিচ রেস্টুরেন্টে খেতে বসে কী চিন্তা করেন তা জানতে চাইবেন অনেকেই। তবে এটুকু নিশ্চিত থাকতে পারেন টাকার কথা ভাবেন না একদম। ম্যানহাটনের এক রেস্টুরেন্টে অল্প কিছুক্ষণের জন্য বসেছিলেন। উদ্দেশ সামান্য নাস্তা করা। রেস্টুরেন্টে বসে তিনি খাবার অর্ডার করা শুরু করলেন আর রেস্টুরেন্ট বেয়ারাদের দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়ে গেল। হাইপ্রোফাইল এই ব্যবসায়ীকে কে ছাড়তে চায়। যা চাইলেন তাই এনে টেবিলে হাজির করল তারা। খাবার শেষে ছোট্ট বিলের কাগজটি হাতে নিয়ে কোনো ভাবান্তর হলো না রোমান আব্রাহিমভিচের। প্রায় ৪০ লাখ টাকারও বেশি বিল হয়েছিল তার। পুরো টাকা শোধ করে বেরিয়ে গেলেন তিনি। কিন্তু বিলের কাগজটি আর গোপন রইল না। মিডিয়াকর্মীদের বদৌলতে পৃথিবীর মানুষ জানল এই লোকের এক বেলা খেতে কত টাকা লাগে।

দামি শহর আরব আমিরাত

বিশ্বের সবচেয়ে দামি শহর আরব আমিরাত। ২০১৪ সালের মধ্যে শহরটির নতুন করে নির্মাণ কাজ শেষ হয়। লন্ডনের হাইড পার্কের চেয়েও অনেক বড় একটি পার্ক নির্মাণের ঘোষণা আসার পরই এটিই হতে যাচ্ছে বিশ্বের সেরা শহর। আরব বিশ্বের সবচেয়ে বড় অবকাশ যাপন ও বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে এই শহরকে। মধ্যপ্রাচ্যের এই নতুন শহর বিশ্বের নতুন বাণিজ্যকেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে ধীরে ধীরে। তেলসমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত সবসময়ই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের জন্য প্রশংসিত। বুর্জ আল খলিফা নামে বিশ্বের দীর্ঘতম ভবনটি গড়ে উঠেছে এখানে। তেলনির্ভর অর্থনীতির পরিবর্তে সিঙ্গাপুরের মতো বাণিজ্যকেন্দ্র ও বিশ্বখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে দুবাই, আবুধাবির খ্যাতি এনে দিয়েছে।

Saturday, March 12, 2016

হাজার ডলারের টিকিট

বিশ্বকাপের সবচেয়ে দামি টিকিটের দাম উঠেছে ৯৯০ ডলার। আর টিকিটটি খুব পুরনো দিনেরও নয়। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপ ফুটবল বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা ব্রাজিল বিশ্বকাপের টিকিটের দাম ঘোষণা করে। এতে সবচেয়ে দামি টিকিটের দাম রাখা হয়েছে ৯৯০ ডলার। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপ ফুটবলের এই দাম দামি টিকিটের কাতারে নাম লিখিয়েছে। ২০১৪ সালের ১৩ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপ ফাইনালের টিকিটের দাম আন্তর্জাতিক দর্শকদের জন্য রাখা হয়েছে ৪৪০ থেকে ৯৯০ ডলার। বোদ্ধারা বলেছেন, টিকিট কালোবাজারিতে আরও অনেক গুণ বেশি দামে টিকিট ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে কিন্তু অফিশিয়াল দামের সঙ্গে সে দামের তুলনায় আনা হয় না। কালোবাজারিতে এই টিকিটের দাম গোপন রেখেছে কুচক্রী মহল। 

Friday, March 11, 2016

ব্লাক ডায়মন্ড মোবাইল

দামি মোবাইলের কথা উঠলে বেশ কয়েকটি মোবাইলের নাম উঠে আসে। বিশ্বের সবচেয়ে দামি মোবাইল ফোনটি তৈরি করেছে সুইস ইন্টারনেট ফোন কোম্পানি ভিআইপিএন। দশমিক ২৫ ক্যারেটের ডায়মন্ডের কন্ট্রোল বাটনসহ ‘দি ব্লাক ডায়মন্ড’ নামের এ মোবাইলটির দাম ২ লাখ পাউন্ড, যা বাংলাদেশি টাকায় ২  কোটি ৫৬ লাখ। এই মোবাইল সেটটির ডিজাইন করেছেন বিখ্যাত সেট ডিজাইনার জ্যারেন গুহ। সেটটির বডি তৈরি করা হয়েছে মূল্যবান টাইটানিয়াম ধাতু দিয়ে। এতে সেনসিটিভ টাচ কি-প্যাড, ক্যামেরা ও মোমোরি কার্ড স্লট, মিরর ফিনিস সেল প্রভৃতি বিদ্যমান। এই মোবাইল ফোন সেটটির শুধু কন্ট্রোল বাটনেই নয়, আরও অনেক স্থানে ডায়মন্ডের প্রলেপ রয়েছে।

Thursday, March 10, 2016

হীরা দিয়ে শরীর ম্যাসাজ

শরীর ম্যাসাজ করার দেশে দেশে নানা পদ্ধতি রয়েছে। রয়েছে বিচিত্র সব খরুচে হাত। তেমনই একটি খরচ হীরা দিয়ে শরীর ম্যাসাজ করা। বিলাসিতার চূড়ান্ত ধরা হয় এটিকে। কারণ হীরা আপনি সঙ্গে নিয়ে আসতে পারবেন না। পার্লারেই রেখে আসতে হবে। এ ধরনের শরীর ম্যাসাজে হীরা বিছিয়ে তারপর আপনার শরীরের মাংসপেশিগুলো ম্যাসাজ করা হয়। ২০০৯ সাল থেকে এ ধরনের ম্যাসাজ চালু হয়। তারপর থেকে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এটি। দেশে দেশে এর জনপ্রিয়তা বাড়তে শুরু করলে হীরার রীতিমতো সংকট দেখা দেয়। একমাত্র শীর্ষ ধনীরাই হীরার ম্যাসাজ নিতে পারেন এমন একটি অঙ্কের বিল চেয়ে বসেন পার্লার কর্তৃপক্ষ। ১.৫ ক্যারেট হীরার প্রয়োজন হয় শরীর ম্যাসাজ করার জন্য। ম্যাসাজের সময় সারা শরীর হীরা দিয়ে ঢেকে ফেলা হয়।

Wednesday, March 9, 2016

কোটি ডলারের পেইন্টিং

৮১ বছর বয়সী বিশ্বের সবচেয়ে দামি শিল্পী থাকেন জার্মানির কোলোন শহরে। টানা দুই বছর ধরে তার শিল্পকর্ম বিক্রি হয়েছে রেকর্ড দামে। তার উল্লেখযোগ্য শিল্প কর্মগুলোর তালিকায় রয়েছে ক্যারেস (মোমবাতি), আটলাস, সিরিজ-আবস্ট্রাকটেস বিল্ড, সিরিজ- বাডের-মাইনহোফ ইত্যাদি। ১৯৯৪ সালে আঁকা বিশাল তেলচিত্রটি বিক্রি হয়েছিল ৩৪ মিলিয়ন অর্থাৎ তিন কোটি ৪০ লাখ ডলারে। ক্ল্যাপটন ২০০১ সালে রিশটারের এই ছবিসহ আরও দুটি ছবি একসঙ্গে কিনেছিলেন ২৬ লাখ ইউরোয়। তার আগে ২০১০ সালে মার্কিন শিল্পী জেস্পার  জোনসের ষাটের দশকে আঁকা তেলচিত্র ‘ফ্ল্যাগ’ (পতাকা) বিক্রি হয়েছিল ২২ মিলিয়ন বা ২ কোটি বিশ লাখ ইউরোয়। নিউইয়র্কের ‘মিউজিয়াম অফ মডার্ন আর্টস-এ তার স্থায়ী প্রদর্শনী কক্ষ রয়েছে।

মোবাইল গেমে টেলর সুইফট

মার্কিন সংগীত শিল্পী টেলর সুইফটকে নিয়ে তৈরি হচ্ছে মোবাইল গেম। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিজের নামে গেম তৈরির জন্য চুক্তি করেছেন এই শিল্পী। 
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেগা স্টার সুইফট কিম কারদাশিয়ান ও কেটি পেরিকে অনুসরণ করে মোবাইল গেমের জগতে আসছেন। এ জন্য গেম নির্মাতা গ্লু মোবাইলের সঙ্গে চুক্তি করেছেন তিনি। ২০১৬ সালের শেষদিকে এ গেমটি বাজারে আসতে পারে বলে গ্লুর প্রধান নির্বাহী নিকেলো দ্য মাসি উল্লেখ করেছেন। টেলরের অনন্য সৃজনশীলতা গেমটিতে কাজে লাগানোর কথা বলেছেন তিনি। তবে গেমের নাম ও ধরন সম্পর্কে এখনো কোনো তথ্য জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি।